লালমনিরহাটের ৫টি উপজেলায় চলতি মৌসুমে ব্যাপক হারে ভূট্টার আবাদ হয়েছে। স্বল্প খরচে অধিক লাভের আশায় বিগত বছরগুলোর ন্যায় এ বছরেও ব্যাপক হারে ভূট্টা চাষের দিকে ঝুঁকে পড়েছে চাষীরা। বিগত বছরগুলোতে ভূট্টা চাষে কৃষকরা লাভবান হওয়ায় এ আবাদ ক্রমশঃ বৃদ্ধি পাবিভিন্ন সময়েচ্ছে। মাঠে মাঠে ভূট্টা লাগানো এবং পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে চাষীরা।
জানা গেছে, বর্তমানে ভূট্টার বীজ শতভাগ আমদানি নির্ভর। সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপক হারে ভূট্টার আবাদ হলেও এর বীজ উৎপাদনে সরকারী বা বেসরকারি কোন উদ্যোগ নেই। আর বিদেশ থেকে আমদানিকৃত বীজের দামও দেশে উৎপাদিত ভূট্টার প্রায় ৫০গুণ বেশী। অর্থাৎ ভূট্টা ওঠার সময় প্রতি ৪০কেজি সাড়ে ১হাজার ৫০টাকা হতে ১হাজার ১শত টাকা দরে কৃষক বিক্রি করলেও বীজ কিনছে প্রতি কেজি ৪শত ৫০টাকা থেকে ৯শত টাকা। আবার বেশি দামে এসব বীজ কিনে চাষীরা প্রতারিত হয়।
তাই সরকারি বা বেসরকারি উদ্যোগে দেশে ভাল বীজ উৎপাদন হলে চাষীরা উপকৃত হবে। দেশে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করে বিভিন্ন দেশ থেকে ভূট্টা বীজ আমদানী করতে হয়। ৭/৮বছর যাবৎ দেশের উৎপাদিত ভূট্টা দিয়েই দেশের চাহিদা পূরণ করে এবং আমাদের দেশের উৎপাদিত ভূট্টাই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে। বর্তমানে দেশের ভূট্টার বহুমুখী ব্যবহার শুরু হওয়ায় এর চাহিদাও দিন দিন বেড়েছে। বাংলাদেশের মাটি ভূট্টা চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী বলে প্রমাণিত হয়েছে। সরকার নজর দিলে ভূট্টা চাষেই পাল্টে দিতে পারে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক চালচিত্র।
লালমনিরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানান, চলতি বছর বিভিন্ন জাতের ভূট্টা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল লালমনিরহাটের ৫টি উপজেলায় ৩০হাজার ৫শত হেক্টর জমিতে। কিন্তু এ পর্যন্ত ভূট্টার আবাদ হয়েছে ২৫হাজার ৯শত ৬৫হেক্টর জমিতে। কৃষি বিভাগ আশা করছেন আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বাম্পার ফলন ও লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।
ফুলগাছ ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম খন্দকার বলেন, অনেক কৃষককে সরকারি ভাবে বিনামূল্যে বীজ ও সার সহায়তা করা হয়।